লালমনিরহাটে গত কয়েক দিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮দশমিক ১ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার পাশাপাশি উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা মৃদু হিমেল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
দিনে রোদ আর সন্ধ্যার পরেই নামছে কনকনে ঠান্ডা। পড়ছে ঘন কুয়াশা। প্রকৃতির এই খাম-খেয়ালিপনা আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে প্রান্তিক এ লালমনিরহাট জেলার মানুষদের।
অতিক্রম লালমনিরহাটের আহবায়ক কবি ও সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির এবং যুগ্ম আহবায়ক মুহিন রায় ও মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই আমাদের ঋতুবৈচিত্র্য পাল্টে যাচ্ছে। এর প্রভাবেই শীতের ঠিক সময়ে শীতের তেমন দেখা নেই, আবার কখনো অতিরিক্ত মাত্রায় শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার খেটে-খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। তাদের কাজে যোগ দিতে বিলম্ব হচ্ছে। অনেকে কাজ না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে পারে। এ ছাড়া এই সপ্তাহেই মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, কয়েকদিন ধরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চলমান রয়েছে। বরাদ্দকৃত দুই দফায় পাওয়া মোট ২৮হাজার পিচ কম্বল বিতরণ শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।